December 23, 2024, 12:26 pm
ডেক্স নিউজ – এই বছর ( ২০১৯ ইং ) সালেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু করতে চায় সরকার । বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আশা করে সাম্প্রতিক হওয়া সমীক্ষা প্রতিবেদন হাতে পাবে তারা এবং প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই খুব দ্রুততম সময়ে শুরু করবে তারা ।
সম্ভব্যতায় ধরা হয় এমন উপাত্তগুলো ১শ’ বছরের বাংলাদেশ, তার অর্থনীতি, জনসংখ্যা ও বৈশ্বিক অবস্থান কেমন হবে সেটা বিবেচ্য রেখেই বঙ্গবন্ধু আন্তজাতিক বিমানবন্দরের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আর সারাদেশের সড়ক, নৌ, রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে এই বিমানবন্দর । মোট ১০ বছরে ৬ বিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে ।
এরইমধ্যে জার্মানির এভি এলাইন্স পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে তৈরি হতে যাওয়া এই প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে এই বিমানবন্দরের অর্থায়ন, নকশা তৈরি, উন্নয়ন ও পরিচালনায় যুক্ত হতে চায়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিপ্পন কোই’কে নতুন করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়ার পর নভেম্বরেই এই আগ্রহ প্রকাশ করে এভি এলাইন্স। এর আগে ২০১৬ সালে নিপ্পনের সঙ্গে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দ্বিতীয় দফার সমাঝোতায় পৌঁছায় সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশ। সে মতে ১৮ মাসে তাদের কাজ শেষ করার কথা।
বিমানবন্দর, বিমান সংস্থা, বৈমানিক ও উড়োজাহাজ নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা ‘সিএপিএ-সেন্টার ফর এভিয়েশন’ এর ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থাকা তিনটি রানওয়ের প্রতিটিরই আয়তন হবে চার হাজার ৪২০ মিটার বা ১২ হাজার ফুট।
প্রকল্পের সম্ভব্যবতা যাচাইয়ের সময় থেকে তিনটি রানওয়ে সুবিধা নির্বাচন করার আগে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রস্তাব বিবেচনা করেছিল । উল্লেখ্য যে ,জাপানি প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোই এই ১৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব পায়।বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, নতুন এই বিমানবন্দরের মূল প্রতিবন্ধকতা হলো জমির সংস্থান। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ১০ হাজার একর জমি প্রয়োজন। সেই হিসেবে পদ্মার ওপারই হলো সবচেয়ে সুবিধাজনক। সেখানে প্রায় ৩০ হাজার একর খাসজমি রয়েছে।
জানা যায় , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এই বিমানবন্দরে প্রতি মিনিটে একটি করে ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারবে। বছরে কমপক্ষে এক কোটি ২০ লাখ যাত্রীর চেক ইন ও চেক আউটের সুযোগ থাকছে। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে ৩০ মিনিটে কোনো যানজট ছাড়াই গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছানোর সুযোগ থাকছে। এই বিমানবন্দরে প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় ৪শ’ যাত্রীবাহী ফ্লাইট ও ২শ’ কার্গোবাহী ফ্লাইট অপারেশনের সুযোগ থাকছে। এই বিমানবন্দর থেকে এক ঘণ্টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য থাকবে বিশেষ মেট্রোরেল প্রকল্প।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে পজেটিভ মূল্যায়ন চোখে পড়ছে । বিশেষজ্ঞরা বাস্তবায়ন পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও সংশয় প্রকাশ করেননি ।